দুরন্ত সাহসী সেনাপতি হযরত খালিদ (রা)
এক, ইসলামের আলো মক্কার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে পড়ছিল। মানুষ দলে দলে এসে ইসলামের পতাকাতলে জমায়েত হচ্ছিল। সুদূর মদীনায় পৌঁছে গেল দীনের আলো। আল্লাহর সত্য বাণী দ্রুত উদ্ভাসিত হতে লাগল। ফলে মিথ্যায় ঢাকা অন্ধকারের চাদর সরে যেতে লাগল। এক নতুন প্রভাবের আগমনী বার্তা যেন শোনা যাচ্ছিল সর্বত্র। সবখানে ধ্বনিত হচ্ছিল ইসলামের জয়গান। মানুষের মুখে মুখে নবী মুহাম্মদ (সা)-এর নাম আলোচিত হচ্ছিল। হযরত খালিদ (রা) ছিলেন একজন বীর সেনানী। তিনি তখনও ইসলামের ছায়াতলে এসে আশ্রয় নেননি। মুসলমানেরদ জানের দুশমন এই খালিদ। ভয়ানক শত্রু বলে মুসলমানরা তাকে চেনে। ইসলামকে ধাবিয়ে রাখতে তিনি কম কষ্ট করেননি।

তবে সত্যের বিরুদ্ধে আর পেরে উঠতে পারছিলেন না। সারাক্ষণ তাঁর বিবেক ইসলামের আবেশে নাড়া খাচ্ছিল। মনের দরজায় উঁকিবুকি দিচ্ছিল দীনের আলোর সুষমা। ধীরে ধীরে তিনি সত্যের আবেশে প্রচণ্ডভাবে আলোড়িত হলেন। তাই তিনি গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন। এদিকে ইসলামের বিরুদ্ধেও তিনি খুব পরিচিত নাম। সবাই তাকে লিডার হিসেবে মানে। এটাও যে অনেক বড় মর্যাদা। কিন্তু এটা তো মিথ্যার পথ। মিথ্যাকে আর মেনে নিতে তাঁর বিবেক চাইল না। এদিকে সমাজের পাপ-পঙ্কিলতা তার মনকে বিষিয়ে তুলল। তাই তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। না, এভাবে আর চলা যায় না। অসত্যের জীবন আর নয়। খালিদ শেষমেশ নড়ে চড়ে উঠলেন। ইসলামকে কবুল করতে তিনি উদগ্রীব হয়ে পড়লেন। একসময় মহানবী (সা)-এর সান্নিধ্য পেতে খালিদের মধ্যে পেরেশানি সৃষ্টি হলো।

একদিন তিনি মদীনার পথে পা বাড়ালেন। মদীনা তখন অনেক দূরের পথ। তাতে কী? নবীজির সাথে তাঁকে দেখা করতেই হবে। অবশেষে খালিদ ঠিকই মদীনায় গিয়ে পৌঁছলেন এবং নবীজির সাথে দেখা করলেন। কালবিলম্ব না করে মহানবী (সা)-এর হাতে হাত রেখে খালিদ ইসলাম কবুল করে নিলেন।

হযরত খালিদ (রা) ইসলামে দাখিল হওয়ার আগে নবীজিকে বললেন,

: হে দীনের নবী (সা)! আমি জীবনের অনেক অন্যায় করেছি। আমার অনেক অপরাধ হয়েছে। এতদিন ভুল পথে চলে জীবনকে কালিমালিপ্ত করেছি। আমি নিজের ওপরও অনেক জুলুম করেছি। আজ আমি সত্য ও মিথ্যার তফাত বুঝতে পেরেছি। আর না বুঝে ইসলামেরও অনেক ক্ষতি করে ফেলেছি। মুসলমানের মনে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আজ আপনি আমাকে মাফ করে দিন। এখনই আমাকে সত্য দীন গ্রহণ করার সুযোগ দিন।

খালিদ এতদিন ছিলেন ইসলামের পরম শত্রু। দীনের আলো নির্বাপণে যার হাত ছিল সক্রিয়, সেই খালিদ এখন ইসলামের মহান সেবকে পরিণত হলেন। তার মতো একজন বীর পুরুষের ইসলাম গ্রহণে মুসলমানদের শক্তি আরও বেড়ে গেল। এদিকে মহাবীর খালিদের জন্য শুরু হলো আরেক ভিন্ন জীবন। এ জীবন সুন্দর ও সৌরভে ভরা, এ জীবন বেহেশতী আলোয় উদ্ভাসিত। দীন কায়েমের দীর্ঘ সংগ্রামে খালিদ (রা) শামিল হলেন। ফলে কাফেররা আঁতকে উঠল। মুশরেকদের হৃদকম্পন শুরু হলো। হযরত খালিদের যে তরবারি ইসলামের ধ্বংসে ব্যবহৃত হতো, তা এখন দীন কায়েমের লড়াইয়ে শতগুণ দৃঢ়তায় গর্জে উঠল। তাঁর ক্ষুরধার তরবারির সামনে দাঁড়াতে কাফেররা আর সাহস পেল না। কাফেররা জানে খালিদের বীরত্ব কতটা ভয়ানক ও সুকঠিন। ইসলামে আসার পর তাঁর তরবারি বহু মুশরেক ও কাফেরের মস্তক দ্বিখণ্ডিত করেছে, তাদের প্রচণ্ড তছতছ করে দিয়েছে।

দুই, ইসলাম গ্রহণের পর হযরত খালিদ (র) প্রথম মুতার জেহাদে অংশ নিলেন। সেই যুদ্ধে তাঁর বীরত্ব সবাইকে অবাক করে দিল। একে একে তিনজন মুসলিম সেমানপতি সেদিন শহীদ হলেন। এতে মুসলিম সেনারা হতবিহবল হয়ে পড়লেন। তারা সবাই ঘাবড়ে গেলেন। চরম পরাজয়ের অন্ধকার সবাইকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। কিন্তু নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন হযরত খালিদ। সাহসিকতার সাথে তিনি সেনাপতির দায়িত্ব নিলেন। এরপর খালিদের সুনিপুণ নেতৃত্বে মুসলমানরা শত্রু সেনাদের ওপর বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ল।

তাঁর যুদ্ধ পরিচালনায় শত্রু শিবিরে নেমে এলো অমানিশা। ফলে শত্রুরা দিকশূন্য হয়ে পড়ল। যুদ্ধ করতে করতে একে একে খালিদের সাতটি তরবারি ভেঙে গেল। তারপরও থামলেন না তিনি। প্রাণপণে লড়াই করে অগণিত শত্রু খতম করলেন খালিদ (রা)। হযরত খালিদ (রা)-এর বুদ্ধি, অপরাজেয় সাহস ও অমিত বীরত্বের কাছে হেরে গেল কাফের মুশরেক দল। মুতায় নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে রেহাই পেল মুসলিম বাহিনী।

তিন, হুনাইনের জেহাদে হযরত খালিদের বীরত্বও ছিল প্রশংসনীয়। তিনি অসীম সাহসিকতার সাথে হুনাইনে লড়াই করেন। শত্রুদের তীরের আঘাতে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল। সেই ক্ষত দিয়ে অঝোর ধারায় রক্ত ঝরে পড়ল। তবু থেকে যাননি হযরত খালিদ (রা)। হুনাইনের ময়দানে তাঁর তরবারির ধার এতটুকুও কমেনি, বরং তিনি দৃঢ়তার সাথে লড়াই করে মুসলিম শিবিরে সাহসের দোলা জাগান। এখানেও শত্রুরা পরাজিত হয়।

চার, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর মক্কা অভিযানে হযরত খালিদ (রা) ছিলেন সক্রিয়। বিনা প্রতিরোধে মক্কা বিজিত হলেও সেদিন সামান্য রক্ত ঝরেছিল। আবু জেহেলের ছেলে মুসলমানদের অবস্থা বুঝে উঠতে পারেনি। তাই সে সামান্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল। তার লোকেরা হযরত খালিদকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করেছিল। এর জবাবে খালিদের তীর শত্রুদের দিকে ধাবিক হলো। বিদীর্ণ হলো শত্রুদের বুক। সেখানেই মারা পড়ল কয়েকজন মুশরেক। আর ব্যর্থ হলো তাদের প্রতিরোধ।

পাঁচ, মহানবী (সা)-এর ওফাতের পরের ঘটনা। হযরত আবু বকর (রা) ভণ্ডনবী তুলাইহাকে দমন করার জন্য হযরত খালিদকে দায়িত্ব দিলেন। খালিত তাঁর বাহিনী নিয়ে তুলাইহাকে শায়েস্তা করতে বের হলেন। তুলাইহার বাহিনীর সাথে তুমুল লড়াই হলো। জেহাদে তুলাইহা চরমভাবে পরাজিত হলো। সেদিন আরও অনেকে হযরত খালিদের বাহিনীর কাছে খতম হলো। তুলাইহার ত্রিশজন সেনাকে খালিদের লোকেরা বন্দী করল। তাদের এনে হাজির করা হলো হযরত আবু বকর (রা)-এর সামনে।

ছয়, এরপর হযরত আবু বকর (রা) ভণ্ডনবী মুসাইলামা কাজ্জাবের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করেন। এবারও সেনাপতির দায়িত্ব দেয়া হলো হযরত খালিদকে। তাঁর বীরত্বে মুসাইলামার বাহিনী চরমভাবে পরাজিত হলো। হযরতওয়াহিশীর হাতে নিহত হলো মুসাইলামা। এই মুসাইলামাই ছিল নবীজির চাচা হযরত হামজার হন্তা। ভণ্ড নবীদের পরাভূত করে এবার খালিদ (রা) মুরতাদদের নির্মূলে অভিযানে নামলেন। তাদেরও দৃঢ়তার সাথে পরাজিত করলেন তিনি। জাকাত অস্বীকারকারী মুনাফেকরাও হযরত খালিদের তরবারিরর কাছে পরাজিত হলো। তিনি প্রতিটি জেহাদে অত্যন্ত সফল হলেন। এরপর হযরত খালিদ ইরাকে অনেক লড়াই পরিচালনা করেন। তাতেও খালিদের অতুলনীয় সফলতা আসে। হযরত খালিদ (রা)-এর সাহস ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বে একসময় সমগ্র ইরাক মুসলমানদের করতলগত হলো।

সাত, ফাহলের যুদ্ধে রোমান শত্রুরা হযরত খালিদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয়বরণ করল। তবে তাদের জেহাদ থামল না। রোমানরা এবার দামেস্ক আক্রমণ করে বসল। প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছিল মুসলিম বাহিনীর সাথে। হযরত খালিদ (রা) অসীম সাহস ও যোগ্যতার সাথে যুদ্ধ পরিচালন করলেন। রোমান বাহিনী হযরত খালিদের নেতৃত্বে একসময় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। তাদের বহু সেনা সেদিন নিতহ হলো, আহত হলো অসংখ্য শত্রুসেনা। অহঙ্কারী রোমান সম্রাট ও পরাজয় মেনে নিতে পারল না। তাই তারা আবারও যুদ্ধের জন্য তৈরি হলো। এবার বিপুল রণসম্ভার ও সৈন্য নিয়ে রোমানরা প্রস্তুতি নিলো। রোমান সেনাপতির নাম মাহান। তিনি দু’লাখ চব্বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে ইয়ারমুক ময়দানে সমবেত হলেন।

রোমানদের যুদ্ধ যাত্রার খবর পেয়ে হযরত আবু বকর (রা)ও বসে থাকরেন না। তিনি মহাবীর হযরত খালিদকে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন ইয়ারমুকে। ৫০,০০০ সেনার এক বিশাল মুসলিম বাহিনী। ইয়ারমুকে এসে হযরত খালিদ প্রতিপক্ষ সেনাপতি মাহানের সামনাসামনি হলেন। কিন্তু রোমান সেনাপতি মাহান বুঝতে পারল, এই যুদ্ধে তারা জয়ী হতে পারবে না। তাই চতুর রোমান সেনাপতি মুসলমানদের সাথে সমঝোতার চিন্তা করলেন। হযরত খালিদের সাথে রোমান সেনাপতি মাহান কথা বললেন। মাহান প্রস্তাব করলেন,

: শোন খালিদ! তোমাদের অনেক অভাব। তোমরা অনেক দূর থেকে এসেছ। তোমার সেনারা ক্ষুধার্ত। তাই বলি, আমার আপস প্রস্তাব মেনে নাও। তুমি রাজি হলে তোমাদের প্রত্যেককে দশটি দিনার করে দেব, এক প্রস্থ কাপড় দেব। তোমাদের খাবারও দেব। আগামী বছরও তোমরা এভাবে জিনিসপত্র পাবে। এসব কিছুর জন্য শর্ত হলো, তোমরা যুদ্ধ না করে এখান থেকে চলে যাবে।

মাহানের এ প্রস্তাবে হযরত খালিদ অপমানবোধ করলেন। তিনি রোমান সেনাপতিকে বললেন,

: মাহান! তুমি জান, মুসলমানরা ভিখেরির জাত নয়। তারা আল্লাহর সৈনিক। অর্থের বিনিময়ে তাদের কেনা যায় না। একথা বলেই হযরত খালিদ ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসলেন। তারপর সোজা ছুটলেন তাঁর সেনা ছাউনির দিকে। মুসলিম সেনারা ছিল প্রস্তুত। খালিদ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে জেহাদের ঘোষণা দিলেন। আর অমনি তিনি বীরদর্পে এগিয়ে গেলেন রোমান বাহিনীর সামনে। মহানবীর খালিদ প্রথমেই ঢুকে পড়লেন রোমান অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী ঠিক মাঝখানে। তারপর তীব্রভাবে চলালেন তরবারি। যারাই সামনে এলো তারাই হযরত খালিদের ক্ষুরধার তরবারিরর নিচে পড়ে মারা পড়ল।

মুসলিম সেনারা সবাই প্রাণপণে লড়াই করলেন। মুসলমানদের বীরত্ব হযরত খালিদের সুনিপুণ নেতৃত্ব রোমান বাহিনীকে দিশেহারা করে তুলল। তারা আর টিকে থাকতে পারল না।

পরদিন সকাল বেলা। রোমান বাহিনীর একেবারে তছনছ অবস্থা। তাদের অসংখ্য লাশে ভরা ইয়ারমুক ময়দান। আহত হয়ে যারা বেঁচে গেছে তারা ছাউনিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে হযরত খালিদকে দেখা গেল তিনি রোমান সেনাপতি মাহানের মঞ্চের ওপর বীরদর্পে দাঁড়িয়ে আছেন। এ কাণ্ড দেখে রোমানরা আঁতকে উঠল। মুসলিমদ সেনারাও হতবাক হলো। হযরত খালিদের বীরত্ব ও সাহসিকতায় সবাই চমকে গেল। সেদিন রোমানদের আরেক কমাণ্ডার ছিলেন জারজাহ। তিনি হযরত খালিদের অসীম সাহস, দৃঢ় নেতৃত্ব ও খোদাভীতি দেখে বিস্মিত হলেন। আর তখনই তিনি ইসলাম কবুল করে নিলেন এবং রোমানদের পক্ষ ছেড়ে মুসলিম ছাউনিতে এসে আশ্রয় নিলেন।

এভাবে হযরত খালিদ (রা) তাঁর দায়িত্ব নিবিড়ভাবে পালন করেছেন। তাঁর সাহস, নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধ ও বীরত্ব ইসলামের সুমহান আদর্শকে অনেক ওপরে তুলে ধরেছিল। ইসলামের শক্তি হযরত খালিদের যোগ্য নেতৃত্বে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। হযরত খালিদ (রা) সকল জেহাদে অসীম বীরত্ব ও সাহসকিতার পরিচয় দিয়েছেন। যুদ্ধ করকে করতে খালিদ (রা) তাঁর জীবনের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর শরীরের প্রতিটি জায়গায় তীর কিংবা বর্শার চিহ্ন দেখা যেত।

ইসলামের ইতিহাসে মহাবীর খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ এক অনন্য নাম। মহানবী (সা) হযরত খালিদকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বলতেন,

: তোমরা খালদকে কষ্ট দিও না। কেননা, সে কাফেরদের বিরুদ্ধে চালিত আল্লাহর তরবারি আর তখন থেকেই খালদের উপাধি হয়েছিল ‘সাইফুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর তরবারি’। এ উপাধি নবী (সা) একজনকেই দিয়েছিলেন। সেই সৌভাগ্যবান সাহাবী আমাদের প্রিয় বীর হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ (রা)।

হযরত খালিদ (রা)-এর মৃত্যুর পর হযরত উমর (রা) দুঃখ করে বলতেন, ‘আমাদের নারীরা খালিদের মতো সন্তান প্রসবে অক্ষম হয়ে গেছে, সত্যিই হযরত খালিদের মতো এমন মহান বীর ইসলামের ইতিহাসে তেমনটি আর দেখা যায়নি’।

ব ল তে পা রো?

১। হযরত খালিদ কে ছিলেন?

২। ইসলামে দাখিল হবার আগে খালিদ মহানবী (সা)-কে কী বলেছিলেন?

৩। ইয়ারমুক যুদ্ধে রোমান সেনাপতি কে ছিলেন?

৪। ইয়ারমুক জেহাদে রোমান ও মুসলিম সৈন্যসংখ্যা কত ছিল?

৫। রোমান সেনাপতি হযরত খালিদকে কী প্রস্তাব দিলেন?

৬। কোন রোমন কমাণ্ডার কেন এবং কিভাবে ইসলাম কবুল করলেন?

৭। মহানবী (সা) হযরত খালিদকে কী উপাধিতে ভূষিত করেন?


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি