ইসলামী সংগঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
মাজলিসে শুরা বা পরামর্শ সভার সদস্যগণ মুক্ত মন নিয়ে সভায় সমবেত হবেন। তাঁরা পূর্ব প্রতিষ্ঠিত কোন ধারণা নিয়ে সভায় আসবেন না।
পরামর্শ দাতাগণ নিজেদের ঈমান, ইলম ও নিরপেক্ষ চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী মত ব্যক্ত করবেন। কোন লোভে পড়ে, কোন ভয়ে ভীত হয়ে অথবা কোন্দলে পড়ে নিজের প্রকৃত মনোভাবের বিপরীত মত ব্যক্ত করবেন না।
একে অপরের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনবেন এবং বক্তব্যের সঠিক অর্থ বুঝবার চেষ্টা করবেন।
প্রত্যেক সদস্য নিজের অভিমত নি:সংকোচে ব্যক্ত করবেন।
প্রত্যেক সদস্যই অধিকার উত্তম অভিমতের মুকাবিলায় নিজের অভিমত কুরবানী করতে প্রস্তুত থাকবেন।
প্রত্যেকেই একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তেরর দিকে এগুবার চেষ্টা চালাবেন।
কখনো যদি এমনটি হয়ে যায় যে, মাজলিসে শুরা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছেনা, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অভিমতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বুনিয়াদ বানাতে হবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে যারা দ্বিমত পোষণ করবেন তারাও মাজলিসে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবেন এবং কোনভাবেই তাঁদের দ্বি-মত পোষণের কথা মাজলিসের বাইরের কাউকে জানাবেন না।
ভিন্নমত পোষণকারীগণ আমীরের মাধ্যমে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করার জন্য মাজলিসে শুরার অধিকাংশ সদস্য সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পক্ষে মত ব্যক্ত করলে ভিন্ন মত পোষণকারীগণকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজেই মন দিতে হবে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের আলোচনা এমন পর্যায়েও পৌছাতে পারে যখন আমীর কিছুতেই মাজলিসে শুরার অধিকাংশ সদস্যের মতের সাথে একমত হতে পারেন না। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত মুলতবী রেখে আমীর বিষয়টি সদস্য মন্ডলীর নিকট পেশ করবেন।
সদস্য মন্ডলী উভয় মত বিবেচনা করে যেটাকে অধিকতর উত্তম ও কল্যাণকর বলে রায় দেবেন আমীর এবং মাজলিসে শূরার সদস্যগণ বিনা দ্বিধায় তা মেনে নেবেন।


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি