ইসলামী নেতৃত্বের জবাবদিহি
ইসলামী নেতৃত্ব দলের সদস্যদের নিকট থেকে দুরে অবস্থান করেন না। তিনি তাদের মাঝে থাকেন এবং তাদেরই একজন হয়ে থাকেন। তিনি তাদের প্রশ্নকে ভয় করেন না। যেই কোন প্রয়োজনীয় ও শালীন প্র্রশ্নের জওয়াব দিতে সদা প্রস্তুত থাকেন। তিনি তার যাবতীয় কাজের জন্য সাধারণভাবে সদস্যদের এবং বিশেষভাবে মাজলিসে শুরার নিকট দায়ী থাকেন। ইসলামী দল, সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতার দায়িত্ব দ্বিমুখী। একদিকে তাঁকে দায়ী থাকতে হয় নির্বাচক মন্ডলীর কাছে। অন্যদিকে তাঁকে দায়ী থাকতে হয় আল্লাহর কাছে। বস্তুত: দুনিয়ার জওয়াবদিহির চেয়ে তাঁর আখিরাতের জওয়াবদিহি ভীষণতর। এই সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল(সা) পূর্বাহ্নেই সাবধান করে বলেছেন -
******* (আরবী টেক্সট) *******
“তোমাদের প্রত্যেকেই তত্ত্বাবধায়ক এবং তোমাদের প্রত্যেকেরই তার তত্ত্বাবধান-দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। নেতা একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।”
- সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম
******* (আরবী টেক্সট) *******
“যেই ব্যক্তি মুসলিমদের সামষ্টিক ব্যাপারে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, পরে তার দায়িত্ব পালনে সৎ মনোভাব প্রদর্শন করেনি এবং এই কাজে সে নিজেকে এভাবে নিয়োজিত করেনি যেভাবে সে নিজেকে নিয়োজিত করে নিজের কাজে, শেষ বিচারের দিন আল্লাহ তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।”


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি