লেখকের আরজ
বর্বর, বেদুইন, যাযাবর, শিক্ষা ও তাআদ্দুনের আলো হাতে বঞ্চিত একটি জাতি মাত্র অর্ধ শতাব্দীর কম সময়ের ভিতরে পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তিদ্বয়কে পর্যুদস্ত ও পরাভূত করে কি করে অর্ধপৃথিবী জয় করে ফেলল? কি করে তাঁরা এই স্বল্পকালীন সময়ের ভিতর মানব সভ্যতার উপরে এক স্থায়ী ও অক্ষয় ছাপ রেখে গেল? সে কথা ভেবে ভেবে আজও ঐতিহাসিকদের পেরেশানীর অন্ত নেই। তাঁরা ভাবতেই পারে না যে, এমন কোন্‌ মহাশক্তির যাদু লেগেছিল, যার ফলে আরব- মুসলমানরা সারা পৃথিবীতে এক প্রলয়কান্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের মহাশক্তিই যে আরব- মুসলমানদের এ সফলতার পিছনে মূল শক্তি হিসেবে ক্রিয়াশীল ছিল, তা বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ও চিন্তাবিদদের অনেকেই অম্লান বদনে স্বীকার করেছেন।

প্রসিদ্ধ পাশ্চাত্য পন্ডিত ইমানুয়েল ডুয়েৎচ বলেছেন, “পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মসমূহের মধ্যে কোরআন যে একটি বিশেষ মর্যাদার অধিকারী তা স্বীকার করতেই হবে। এ ধরনের যুগান্তকারী সাহিত্যের মধ্যে কোরআন সর্বকনিষ্ঠ বটে; তবে জনসাধারনের উপর প্রভাব বিস্তারে তা কারও অপেক্ষা ন্যুন নহে। কোরআন মানবীয় চিন্তাধারার যেমন এক নতুন ভাবের সৃষ্টি করেছে, তেমনি সৃষ্টি করেছে এক নতুন চরিত্রের। উহা আরব উপদ্বীপের মরুচারী কতগুলি পরস্পর বিরোধী গোষ্ঠিকে এক সুমহান বীর জাতিতে পরিনত করেছে”।

কোরআন নাযিলের পর থেকে আরম্ভ করে দুনিয়ার বিভিন্ন ভাষায় কোরানের উপর অসংখ্য গবেষণামূলক গ্রন্থ রচিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের মাতৃভাষা বাংলাতে এ ধরনের গবেষণামূলক পুস্তকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই বাংলা ভাষা- ভাষী মুসলিম ভাই-বোনদের খেদমতে পবিত্র কোরানের উপর গবেষণামূলক আমার এ ক্ষুদ্র পুস্তিকাখানি পেশ করছি।

ইতিমধ্যে এর দ্বাদশ সংস্করণ শেষ হয়েছে। ত্রয়োদশ সংস্করণ বের করতে পেরে মহান রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া আদায় করছি।

-আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি