ষ্টিফেন হকিং, নাস্তিকতা ও ইসলাম
লেখকঃ মুহাম্মদ সিদ্দিক
প্রকাশনীঃ মাদীনা পাবলিকেশান্স
যুক্তরাজ্যের পদার্থবিদ স্টিফেন ডব্লিউ হকিং-এর সমালােচনায় সমগ্র পৃথিবীতে সম্ভবত: এটি প্রথম গ্রন্থ। পঙ্গু হকিং বর্তমান বিশ্বের একজন খ্যাতনামা জ্যোতির্বিদপদার্থবিদ। তাঁর নামের প্রচারে তাঁর প্রভাব উঠতি শিক্ষার্থীদের উপর যথেষ্ট। তবে এসট্রো ফিজিক্স-এর গবেষণা করতে গিয়ে তিনি মেটাফিজিক্স (অধিবিদ্যা), দর্শন ও স্রষ্টাতত্ত্ব নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ-সমালােচনা করায় তাকে ছাড় দেওয়া যায় না।“হু | ক্রিয়েটেড গড” (স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছেন)? স্রষ্টা কি মানুষের ব্যাপারে ওয়াকেফহাল? স্রষ্টা মানুষের ব্যাপারে কি মাথা ঘামান? স্রষ্টার প্রয়ােজন আছে কি? মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে প্রাথমিক অবস্থা নির্বাচনে স্রষ্টার কোন স্বাধীনতাই ছিল না- এমনি ধরনের অজস্র দর্শনকেন্দ্রিক মন্তব্য করেছেন পদার্থবিদ হকিং তার বিজ্ঞানের গ্রন্থে। হকিং-এর জীবনী লেখক হােয়াইট ও গ্রিবিন মন্তব্য করেছেন, হকিং গডের ধারণা পুরাপুরি ছুঁড়ে ফেলেছেন। আধুনিক খ্রিস্ট ধর্মের অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বসমূহের উপর বিতশ্রদ্ধ হয়ে হকিং এসব মন্তব্য করে থাকবেন। হকিং যেহেতু ইসলামের স্রষ্টাতত্ত্ব সম্পর্কে অনবহিত, “ফিজিক্স”-এর বাইরে তাঁর অযৌক্তিক মন্তব্যসমূহ বিনা চ্যালেঞ্জে যেতে দেওয়া যায় না। হকিং তথা অন্যন্য নাস্তিক বৈজ্ঞানিকদের বিজ্ঞানের বাইরের বিষয়ের উপর “সুইপিং” (অবিবেচনাপ্রসূত) মন্তব্য মুসলিম যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করতে পারে কারণ অনেকেই হকিং এবং অন্য বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞান গবেষণায় মুগ্ধ। ফিজিকসের আপাতত: সত্যের সঙ্গে মেটাফিজিক্স-এর অসত্যকে মিলিয়ে চালানাের প্রচেষ্টাকে বাধা প্রদানই এ গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য। তবে হকিং ও অন্যান্যের মূল পদার্থবিদ্যা তথা বৈজ্ঞানিক গবেষণার সঙ্গে কোন বিদ্বেষ নেই বর্তমান লেখকের।
এই গ্রন্থটি যদিও একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রন্থ, তবে এটিকে একটি ত্রয়ী পরিকল্পনার অন্যতম বলা যেতে পারে। স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে লেখকের পরবর্তী গ্রন্থ হলাে “নাস্তিকের যুক্তি খন্ডন”এবং স্রষ্টা তত্ত্ব ও ইসলাম”। যারা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান তাদের হাতে এ তিনটি গ্রন্থ শক্তিশালী অস্ত্র হতে পারে। বর্তমান লেখক একজন প্রবীণ গবেষক, প্রবন্ধকার, কলাম লেখক, সাবেক অধ্যাপক ও সাবেক কূটনীতিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ডক্টর আনিসুজ্জামান পি এইচ ডি (ওয়েলস, ইউ, কে) - এর মন্তব্যঃ “ আমি বইটির বহুল প্রচার কামনা করি এবং সম্ভব হলে অন্যান্য ভাষা, | বিশেষ করে, ইংরেজিতে এটির অনুবাদের জন্য পরামর্শ দেই।”