মূলপাতা বই

সর্বশেষ প্রকাশিত

বইয়ের তালিকা

ফাঁসির সেল থেকে দেখা বাংলাদেশ

লেখক: মুহাম্মদ কামারুজ্জামান

প্রকাশনী: প্রচ্ছদ প্রকাশন

পলাশির প্রান্তরে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হলো

বদ্বীপ দেশ বাংলাদেশ। পলিমাটির দেশ বাংলাদেশ। খাল-বিল, হাওড়-নদীর দেশ বাংলাদেশ। সেন ও পাল বংশের রাজারা এই দেশ শাসন করেছেন অনেক দিন। ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলায় মুসলিম শাসনের যুগ শুরু হয়। মুসলিম শাসকরা চারশো বছরের বেশি সময় এ দেশ শাসন করেছেন পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় পর্যন্ত। মূলত স্বাধীন সুলতান বা শাসকরাই এ দেশ শাসন করেন।

পলাশিতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ছিল একটি আঁতাঁত, ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার ফসল। সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সামান্য এক ইংরেজ বাহিনীর হাতে নবাব সিরাজের পতন হয়। সেই ষড়যন্ত্রে মীর জাফর একা ছিলেন না। তার সাথে ছিলেন উমিচাঁদ, জগৎশেঠ ও ঘসেটি বেগমরা।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন যেদিন লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনী রাজধানী দখল করে, সেদিন মুর্শিদাবাদের রাজপথের দুই ধারে উৎসাহী জনতা দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে। একজন ঐতিহাসিক মন্তব্য করেছেন- 'মুর্শিদাবাদের রাস্তার দুই ধারে যে জনতা জমায়েত হয়েছিল, তারা যদি একটি করে পাথরও নিক্ষেপ করত, তাহলে ইংরেজ বাহিনী নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত এবং এভাবে মুর্শিদাবাদের আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যেত না; বরং ভিন্ন ইতিহাস রচিত হতো।' আঁতাতের ফলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সাহসী ও দেশপ্রেমিক নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মর্মান্তিকভাবে জীবন দিতে হতো না, যদি মীর জাফরেরা বিশ্বাসঘাতকতা না করত। দুঃখজনক হলো-কিছু কথিত লেখক ও ঐতিহাসিক দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী, সাহসী ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নবাব সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ইতিহাসকে কালিমালিপ্ত করেছেন। বাংলাদেশেরও কিছু লোক নবাব সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে থাকেন।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ - নেতৃত্ব, সংগঠন ও আদর্শ

লেখক: ড. হাসান মোহাম্মদ

প্রকাশনী: তাফহীম পাবলিকেশন

জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ও জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সম্পর্কে আলোচনা থাকলেও আইনানুগভাবে বাংলাদেশে জামায়াত সংগঠনের সূচনা (১৯৭৯) থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত জামায়াত কার্যক্রমের মধ্যে এ গ্রন্থের আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। নেতৃত্ব, সংগঠন ও আদর্শ পরস্পর সম্পর্কিত বলে এ তিনটি বিষয়ের আলোচনায় পুনরুক্তি স্বাভাবিক। এতসত্ত্বেও এ গ্রন্থে এটি যথাসম্ভব পরিহারের চেষ্টা করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতা নেই- এমন একটি রাজনৈতিক সংগঠনের ওপর কাজ
করার জন্য আমার শ্রদ্বেয় শিক্ষক প্রফেসর আর. আই. চৌধুরী আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বহুল আলোচিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব, সংগঠন ও আদর্শ সম্পর্কিত এ গবেষণাকর্ম যথাসম্ভব নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করার জন্য আমি বিশেষভাবে সচেষ্ট ছিলাম। আমি আশা করি, অনুসন্ধিৎসু পাঠকগণের নিকট জামায়াতের নেতৃত্ব, সংগঠন ও আদর্শ তথা জামায়াতের রাজনীতির একটি বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও মূল্যায়ন এ গ্রন্থের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে পিএইচডি পর্যায়ে এ কাজ ছাড়া আর কোনো গবেষণা ইতঃপূর্বে হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
এ গবেষণাকর্ম সম্পাদনের জন্য আমাকে শিক্ষা ছুটি ও গবেষণা বৃত্তি প্রদান করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদার্হ হয়েছেন।