লেখকঃ মোবায়েদুর রহমান

লেখক পরিচিতি

মোবায়েদুর রহমান

জনাব মােবায়েদুর রহমান ১৯৪২ সালের এপ্রিল মাসে বগুড়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বগুড়া জিলা স্কুল ও আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে তিনি যথাক্রমে ম্যাট্রিক ও আই.এ পাস করেন। তিনি ১৯৬৩-৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও এম.এ ডিগ্ৰী লাভ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি 'দৈনিক আজাদে’র রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে তিনি সাবেক ইপসিক ও বর্তমান বিসিকে' (ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা) ডেপুটি- ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে হল্যান্ড থেকে তিনি ‘এ্যাডভান্স ম্যানেজমেন্টের ওপর ডিপ্লোমা করেন। দেশে ফিরে এসে তিনি বাংলাদেশ বস্ত্ৰ শিল্প সংস্থায় যোগদান করেন এবং বিটিএমসি'র অধীন ৬টি রাষ্ট্রায়ও কারখানায় প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিসিক ও বিটিএমসিতে মোট ২১ বছর চাকরি করেন। সাংবাদিক জীবনে তিনি 'দৈনিক আজাদ' ও 'দৈনিক পূৰ্বদেশে রিপোর্টিং ও সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি অধুনালুপ্ত দি মার্নিং স্যানে' নিয়মিত কলামিস্ট এবং 'বাংলাদেশ অবজারভারে সম্পাদকীয় লেখক হিসেবে কাজ করেন। তিনি অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক 'ক্সাণ্ডা’ ও ‘দৈনিক সকালের খবরের' প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ সালে জনাব মোবায়েদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবে’ বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে যোগদান করেন এবং একই সাথে নিয়মিত কলাম লিখতে থাকেন। রূপকার’ ছদ্মনামে তিনি দৈনিক ইনকিলাবে ‘রাজনৈতিক রঙ্গালয়' শীর্ষক যে নিয়মিত সাপ্তাহিক কলাম লিখতেন সেটা বাংলাদেশে অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। বর্তমানে তিনি 'দৈনিক ইনকিলাবের এ্যাসোসিয়েট এডিটর। জনাব মোবায়েদুর রহমান দৈনিক দিনকাল’ ও ‘বাংলাবাজার পত্রিকায় কলাম ও রাজনৈতিক ভাষ্য লিখতেন। এখনও তিনি 'দৈনিক সংগ্ৰাম' এবং ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’য়। কলাম এবং সংবাদ ভাষ্য লিখে যাচ্ছেন। একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিভিন্ন সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠকে তার বক্তব্য সচেতন জনগোষ্ঠীর মাঝে বিপুলভাবে আলোচিত হয়। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালালে জনাব মোবায়েদুর রহমান বাংলাদেশের একমাত্র সাংবাদিক হিসেবে দৈনিক ইনকিলাবের পক্ষ থেকে আফগান রণাঙ্গনের যেসব রিপোর্ট পাঠান, ইনকিলাবে প্রকাশিত সেই সব রিপোর্ট সেই সময় আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী চেহারা উন্মোচন করে এবং জনগণের মাঝে ঐ সব রিপোট ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় ।
জনাব মোবায়েদুর রহমান ১৯৯৩ সালে মেডিটেশন কোর্সে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। শত শত গ্র্যাজুয়েটের মাঝে বাংলা ভাষায় তিনি মেডিটেশন করিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি মেডিটেশনের ওপর ব্যাপক পড়াশোনা করেছেন এবং গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁর এই গবেষণা এবং পড়াশোনার ফসল হলো “সাবিলাইম মেডিটেশন নামক গ্রন্থটি। বাংলাদেশে সাবালাইম মেডিটেশনই একমাত্র কোর্স যেটি পবিত্র কোরআনে'র বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর রচিত। পেশাগত কাজে জনাব মোবায়েদুর রহমান এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া সফর করেছেন।

ঠিকানা