লেখকঃ ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

লেখক পরিচিতি

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

ড. রেজওয়ান সিদ্দিকীর জন্ম টাঙ্গাইল জেলার এলাসিন গ্রামের এক সম্ভান্ত পরিবারে, ১৯৫৩ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি। পিতা আতিকুল হােসেন সিন্দীকী, মাতা হাওয়া সিদীকী উভয়েই জান্নাতবাসী। এলাসিন তারক যোগেন্দ্ৰ হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি. পাশ করে ১৯৬৮ সালে ভর্তি হন করটিয়া সা’দত কলেজে। জড়িয়ে পড়েন। বাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে। '৬৯-এর সামরিক শাসনের পর মাথায় হুলিয়া নিয়ে আত্মগোপন করেন। ১৯৭০ সালে আবার ভার্ত হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। এইচ.এসসি. পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর (১৯৭৬) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এমফিল-এ ভর্তি হন, পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে। এর মধ্যে ১৯৯০-৯১ সালে হল্যান্ডের হেগ নগরীর ইনস্টিটিউট অব সোশাল স্টাডিজ থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয় বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা অর্জন করেন।
জীবনের লড়াই শুরু করেছিলেন সেই ১৯৭০ সাল থেকেই। সংবাদপত্রের সকল বিভাগে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। ১৯৭২ সালে যোগ দিয়েছিলেন। দৈনিক বাংলায়। কাজ করেছেন। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। '৯৪-৯৬ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দৈনিক দিনকাল-এ বার্তা সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালে যোগ দেন। লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশ পত্রিকার বাংলাদেশস্থ আবাসিক সম্পাদক হিসেবে। ২০০২ সালে সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী লিখে গেছেন অবিরাম। সংবাদপত্রে কলম ধরেছিলেন। ১৯৭২ সালের শুরু থেকে। সে কলম কখনও থামে নি। ছোটগল্প লিখেছেন দুশতাধিক, উপন্যাস ন'টি, প্রত্যেকটি ব্যতিক্রম। লিখেছেন ফিকশন, রাসপুটিনের জীবনী, অনুবাদ, নাটক, প্ৰবন্ধ আর সমালোচনায় আছেন অগ্রণী, খবরের কাগজের কলাম তো আছেই। টেলিভিশনের উপস্থাপক, সাংবাদিকতা ও পরিবেশ বিষয়ক প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। ছুটে বেড়ান দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত। তার সাড়া জাগানাে গবেষণা পূর্ব বাংলার সংস্কৃতিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক আন্দােলন, * Qiricii; ; Siffo (sas-'as), Cultural Colonization : India Bangladesh issue, Sicioff-fi fi(1C, আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রভৃতি।
জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে লড়াই করে যাচ্ছেন ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী। সরকারী রোষে জেল খেটেছেন, হয়রানি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু নত হতে শেখেননি রেজোয়ান সিদ্দকী।

ঠিকানা