লেখকঃ মাওলানা আবদুল আলী

লেখক পরিচিতি

মাওলানা আবদুল আলী

মরহুম মাওলানা আবদুল আলী ১৯০২ খ্রীষ্টাব্দে মানিকগঞ্জ মহকুমার বহুলাতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম হাফেজ মােহাম্মদ আবদুল হাকিম। জনাব আবদুল আলী কোলকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। খেলাফত আন্দোলনের সময় মওলানা হুসাইন আহমদ মদনী (র:) নাখােদা মসজিদে একটি জাতীয় মাদ্রাসা স্থাপন করলে তিনি সেখানেও কিছুদিন পড়াশুনা করেছিলেন। মাদ্রাসা শিক্ষা শেষ করে মাওলানা সাহেব ফরিদপুর এসে ময়েজ উদ্দীন হাই। মাদ্রাসায় প্রধান মওলানা হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। এ সময় থেকেই তিনি স্থায়ীভাবে ফরিদপুরে বসবাস করতে থাকেন। ফরিদপুর এসে মরহুম মাওলানা আবদুল আলী মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের জন্যে সর্বতােভাবে চেষ্টা করতে থাকেন এবং নানাবিধ জনহিতকর কার্যে আত্মনিয়ােগ করেন। তক্তালীন মুসলিম জাগরণের প্রতীক কমলাপুর ব্যায়াম সমিতি এবং কোহিনূর পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠায় তিনি অন্যতম অগ্রণীর ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অত:পর ফরিদপুর জেলা বাের্ড একটি বৃত্তি দিয়ে তাকে তিব্বীয়া কলেজে হেকিমী পড়ার জন্য দিল্লী প্রেরণ করেন। সেখানে তিনটি বিষয়ে স্টারমার্কসহ তিনি প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। বাঙালী ছাত্রদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম এই গৌরবের অধিকারী হন। মরহুম একজন খ্যাতনামা মুফাসির ছিলেন। আজীবন সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি কুরআন শরীফের চর্চা করেছেন। মাওলানা সাহেব অনেকগুলাে গবেষণামূলক পুস্তক প্রণয়ন করেছেন। তাঁর রচনা সুধী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৬২-১৯৬৫ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত এম, পি. এ. ছিলেন। মহান চরিত্র এবং বিরল ব্যক্তিত্বের জন্যে মরহুম এতদঞ্চলের সর্বজনের শ্রদ্ধা অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। * মরহুম মাওলানা আবদুল আলী ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে হজ্জ করার জন্য মক্কা শরীফে যান এবং ২৯ ডিসেম্বর সৌদি হাসপাতালে ইনতেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মক্কা শরীফে জান্নাতুল মাহলায় তাকে দাফন করা হয়। সেখানে তিনি চিরন্দ্রিায় শায়িত আছেন।

ঠিকানা