লেখকঃ ডক্টর এস. এম. লুৎফর রহমান

লেখক পরিচিতি

ডক্টর এস. এম. লুৎফর রহমান

ড. এস এম লুৎফর রহমান
D. S.M Lutfor Rahman

 

পরিবারিক পরিচিতি:
অধ্যাপক ড. এস. এম. লুৎফর রহমান ১৯৪১ সালের ১২ অক্টোবর ---------- জেলার -------------গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম এস. এম. ইসরাইল মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার খাটর রামানন্দকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। মা মরহুমা আয়েশা খাতুন একজন গৃহিণী ছিলেন। পিতা-মাতার দুই সন্তানের মধ্যে জনাব লুৎফর রহমান বড়। ছোট ভাই এস. এম. মশিয়ার রহমান পুলুম গোলাম সরোয়ার হাই স্কুল-এর শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

১৯৬৩ সালে মাগুরা জেলার সীমাখালি নিকটে গোয়ালখালী গ্রামের মেয়ে -------------------সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রী ১৯ ----- সালে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ----- সন্তানের জনক। বড় ছেলে/মেয়ে ---------------------------------------------------। ছোট ছেলে/মেয়ে -----------------------------------------------------------------------------।


শিক্ষাজীবন:
শিক্ষাজীবনে শুরুতে তিনি পিতার প্রতিষ্ঠা করা ‘খাটর রামানন্দকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এ অধ্যায়ন করেন। এখানে ------ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর তাঁকে ‘পুলুম প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এ ভর্তি করা হয়। ১৯৫৯ সালে পুলুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যট্রিক পাশ করেন। ১৯--- সালে তিনি নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ হতে ১৯---- সালে বি এ (পাশ) সর্টিফিকেট অর্জন করেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ১ম পর্বে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন এবং ১৯ --- সালে ২য় পর্বে ২য় শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।


পেশাগত জীবন :
বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনের শুরুতে ১৯ ---- সালে তিনি তৎকালীন নড়াইল মহকুমার অন্তর্গত মাইজপাড়ার ‘মধ্যপল্লী হাই স্কুল’-এ শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯ ---- সালে বাংলা একাডেমীর মাঠকর্মী হিসেবে লোকসাহিত্য, পুঁথি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের কাজ করেন। মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রকাশের আগেই ১৯ ---- সালে তিনি রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে --------------- পদে চাকরি করেন কয়েক মাস। এরপর ১৯ ---- সালে বুনাগাতী হাই স্কুলে এবং পরবর্তীতে ১৯ ---- সালে কালীগঞ্জের মাহতাব উদ্দিন কলেজে কয়েক মাস শিক্ষকতা করেন। ১৯ ---- সালে বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে কিছুকাল অধ্যাপনা শেষে ১৯ ---- সালে খুলনার ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তিন বছর যাবৎ অধ্যাপনা করেন। ১৯ ---- সালে যশোরের মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। অবশেষে ১৯৭৬ সালের ২৭শে অক্টোবর নিজ যোগ্যতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।

বর্তমানে তিনি নজরুল-অধ্যাপক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ।
প্রাক্তন পরিচালক, নজরুল গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পদ অলংকরণ : প্রভাষক (১৯৬৬), সহকারী অধ্যাপক (১৯৭৯), সহযোগী অধ্যাপক (১৯৮৫), অধ্যাপক (১৯৯৪), সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক (১৯৯৯), নজরুল অধ্যাপক (২০০৪), বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কর্মজীবনে তিনি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী, হিন্দী, অহমিয়া প্রভৃতি ভাষায় পারদর্শীতা অর্জন করেন।


গবেষণা:
জনাব রহমান গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন ১৫টি। গবেষণাধর্মী নিবন্ধ লিখেছেন দেড়শতাধিক। উল্লেখযোগ্য বইসমূহ হল: আধুনিককালের কবি ও কবিতা, দৌলৎপুরে নজরুল, ধূমকেতু ও তার সমাধি, মেসোপটেমিয়ায় নজরুল, ভৌগোলিক পরিবেশ ও দৈহিক নৃবিজ্ঞান, বাঙালা লিপির উৎস ও বিকাশের অজানা ইতিহাস, বাঙালীর লিপি ভাষা বানান ও জাতির ব্যতিক্রমী ইতিহাস (৩ খন্ড), লালন-জিজ্ঞাসা, বাউল তত্ত্ব ও বাউল গান, লালনগীতি চয়ন, লালন শাহ: জীবন ও গান, বাঙালা ভাষা ও বানানের ঐতিহাসিক বিপর্যয়: উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, বাংলাদেশী কথা-সাহিত্যের তিন আমল, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে, বাংলাদেশী জারীগান, বৌদ্ধ চর্যাপদ, দুদ্দু শাহ, বাংলাদেশী লোক-চিকিৎসা ইত্যাদি।


সদস্য পদ:
আজীবন সদস্য বাংলা একাডেমী,
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ-এর আজীবন সদস্য।
দি রিসার্চ বোর্ড অব এডভাইজার্স অব দ্য আমেরিকান বায়োলজিক্যাল ইন্সটিটিউট এক্সপার্ট মেম্বার
এক্সপার্ট কমিটি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট, ঢাকা সঞ্চালক কমিটি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
ইন্সটিটিউট, ঢাকা

সিলেকশন এন্ড প্রমোশন কমিটি, বাংলা বিভাগ, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, অধ্যাপক-ক্যাটেগরি, বাংলা বিভাগ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক-ক্যাটেগরি, লোকসাহিত্য বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক-ক্যাটেগরি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


সম্মাননা:
১৯৬৪ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবন্ধ লেখা ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় দুটোতেই প্রথম পুরস্কার পান। ১৯৬৫ সালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সেরা নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কাউন্সিল কর্তৃক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসেবে ‘আজীবন সম্মাননা’ পেয়েছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও উন্নয়ন বিষয়ে মৌলিক গবেষণায় অবদানের জন্য ‘জাতীয় লেখক ফোরাম’, ঢাকা কর্তৃক ‘নওয়াব স্যার সলিমুলস্নাহ জাতীয় পুরস্কার-২০০৮’-এ ভূষিত হন। দি আমেরিকান বায়োলজিক্যাল ইন্সটিটিউট, নর্থ ক্যারোলিনা, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার-১৯৯৭’ নির্বাচিত হন।


অবদান:
* জনাব লুৎফর রহমান বাংলা পান্ডুলিপি, ইন্দো-ইউরোপীয় আদি ভাষা এর বিশ্ব-ভাষা প্রকল্প এবং মূল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎস বিষয়ে নতুনভাবে আলোকপাত করেছেন।
* বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিশিষ্ট তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ।
* বাউলতত্ত্বের উৎস অনুসন্ধান ও গবেষণা।
* বাংলাদেশের লোক-চিকিৎসা ও দৈহিক নৃবিজ্ঞান অনুসন্ধানে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
* বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি, এটিএন বাংলা, এনটিভি এবং বিভিন্ন সাময়িকী ও দৈনিক পত্রিকায় বিবিধ অবদান রেখেছেন।

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী :
কর্মময় ও বিচিত্র অভিজ্ঞতায় আলোকিত লুৎফর রহমান ঘটনাবহুল এক মহান জীবনের অধিকারী। তাঁর কর্মজীবনে দেশ ও বিশ্ববরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সান্নিধ্যে এসেছেন। পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি, খ্যাতি ও স্বীকৃতি। বিখ্যাত জারিগান ও বাউল শিল্পী মহেন্দ্রনাথ , বিশিষ্ট বাউল শিল্পী ও বিশেষজ্ঞ শাহ লতিফ আফি আন্‌হু প্রমুখের নিবিড় সান্নিধ্যে তিনি বাউল সঙ্গীত জগতকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন ও সবার সামনে তুলে ধরেন।

ঠিকানা