লেখকঃ ড. আলীয়া আলী ইজোিতবেগোভিচ

লেখক পরিচিতি

ড. আলীয়া আলী ইজোিতবেগোভিচ


ড. আলীয়া আলী ইজোিতবেগোভিচ ১৯২৫ সালে উত্তর বসনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন কেটেছে। সারায়েভোতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পরে তিনি মার্শাল টিটাের সাম্যবাদী সরকার কর্তৃক ধর্ম চর্চার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা উন্মেষের লক্ষ্যে সংগ্রাম করেন । ফলস্বরূপ ১৯৪৯ সালে পাচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মুক্তির পর প্রায় পাঁচশ বছর আইন ব্যবসায় নিয়োজিত থাকার পর অবসর গ্রহণপূর্বক ইসলাম, দর্শন ও অন্যান্য বিষয়ে লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৮৩ সালে একজন মহিলা কবিসহ এগারোজন মুসলিম বুদ্ধিজীবীর সাথে তাঁকে পুনরায় চৌদ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এবারে তাঁকে রাষ্টদ্রোহী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করার জন্যে প্রমাণস্বরূপ উপস্থিত করা হয়। বর্তমান বই 'প্রাচ্য পাশ্চাত্য ও ইসলাম' (বইটির মূল বিষয়বস্তু সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে।
১৯৯০ সাল নাগাদ যুগোশ্লাভিয়ায় গণতন্ত্রায়নের ক্রান্তিকালে তিনি Party of Democratic Action গঠন করেন এবং বিপুল ভোটে বসনিয়া-হারিজেগোভিনার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে বসনীয়। জনগণের ইচ্ছে ক্ৰমে বসনিয়া-হািরজেগোভিনাকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। পরবর্তী ইতিহাস কমবেশী সকলেই জানেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে তিনি আকস্মিকভাবে সার্বীয় সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হন এবং তাঁর প্রাণনাশের আশংকা দেখা দেয়। সৌভাগ্যক্রমে বিশ্বজনমতের চাপের মুখে সার্বীয়রা তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গোটা ইওরোপে গত কয়েক দশক ধরে তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। যেখানে মসজিদ ও টেলিভিশন ট্রান্সমিটার থেকে বিপরীতধর্মী বাণী প্রচারিত হয় সেখানে কী ভাল আশা করা যায়?- সত্তর দশকের প্রথম দিকে রাজনীত্যিকগণ তাঁকে 'প্রতিক্রিয়াশীল’, ‘মৌলবাদী' হিসেবে আক্রমণ করেন। কিন্তু তাঁর বই প্রাচ্য পাশ্চাত্য ও ইসলাম' প্রমাণ করে যে, মানব সভ্যতার ইতিহাসে জগৎ জীবনের ক্যানভাসে যাঁরা ধর্মকে আঁকতে চেয়েছেন তাঁদের মধ্যে তাঁর স্থান নিশ্চয়ই প্রথম সারিতে।

ঠিকানা