ইসলামী সংগঠনের স্বাভাবিক বর্ধন
ইসলামী সংগঠন একটি স্বাভাবিক পথ ধরে ক্রমবিকশিত হয়। এই ক্রমবিকাশের জন্য যেমন প্রয়োজন কর্মীদের নিরলস ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, তেমনি প্রয়োজন সময়ের। আকাংখিত মানের কর্মীবাহিনী গঠন এবং কর্ম এলাকার জনগণের মনে ইসলামী জীবন-বিধান গ্রহণের মন মানসিকতা গঠনের জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তড়িঘড়ি করে মানযিলে মাকসুদে পৌঁছে যাওয়া ইসলামী সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন একটি উপমার মাধ্যমে ইসলামী সংগঠনের ক্রমবিকাশের চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।
******* (আরবী টেক্সট) *******
“এ এমন এক কৃষি যা অংকুর বের করলো, অতঃপর শক্তি সঞ্চয় করলো, অতঃপর মোটা-তাজা হলো এবং নিজ কাণ্ডের ওপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে গেলো।” -আল ফাতহ ২৯
এই আয়াতাংশে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক পরিচালিত সংগঠনের ক্রমবিকাশ ও প্রতিষ্ঠা লাভের কথা সুন্দরভাবে ব্যক্ত করছে। এতে ক্রমবিকাশের চারটি পর্যায় উল্লেখ করা হয়েছে। যথাঃ
১। অংকুর বের করা।
২। শক্তি অর্জন করা।
৩। মোটা-তাজা হওয়া।
৪। কাণ্ডের উপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া।
‘অংকুর বের করা’ অর্থ হচ্ছে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সূচনাকরণ।
‘শক্তি অর্জন করা’ অর্থ হচ্ছে আহ্বানে সাড়া দানকারী ব্যক্তিদেরকে সংঘবদ্ধ ও সংশোধিত করে সাংগঠনিক শক্তি অর্জন।
‘মোটা-তাজা হওয়া’ অর্থ হচ্ছে কর্ম এলাকার সর্বত্র প্রভাব সৃষ্টি ও গণ- মানুষের সমর্থন লাভ। আর গণ-মানুষের সমর্থন লাভেরই আরেক নাম গণ-ভিত্তি অর্জন।
‘কাণ্ডের ওপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া’ অথ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জন।

-:সমাপ্ত:-


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি